Blog
পাকা আমের পুষ্টি উপকারিতা গুলো জেনে নিন

গ্রীষ্মকাল এলেই আমাদের ঘরে ঘরে যে ফলটির সবচেয়ে বেশি কদর বাড়ে, সেটি হচ্ছে পাকা আম। শুধু স্বাদেই নয়, পাকা আম পুষ্টিগুণেও ভরপুর। নিয়মিত এই ফলটি খাওয়ার মাধ্যমে আমরা অনেক শারীরিক উপকার পেতে পারি। চলুন জেনে নেওয়া যাক পাকা আমের কিছু গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপকারিতা।
ভিটামিনের ভাণ্ডার
পাকা আমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি এবং ই।
- ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে, ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায় এবং ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে।
- ভিটামিন সি ঠান্ডা-কাশি প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং শরীরের কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে, যা ত্বক ও হাড়ের জন্য জরুরি।
- ভিটামিন ই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, বয়সজনিত ক্ষয় কমায়।
শক্তি ও পরিপাক সহায়ক
পাকা আমে থাকে প্রাকৃতিক চিনি (গ্লুকোজ ও ফ্রুকটোজ), যা দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে। যারা শরীরচর্চা করেন বা ক্লান্তি অনুভব করেন, তাদের জন্য এটি একটি দারুণ স্ন্যাকস।
এছাড়া, আমে রয়েছে এনজাইম (যেমন: অ্যামিলেজ), যা খাবার হজমে সহায়তা করে। বিশেষ করে ভারী খাবারের পর একটি পাকা আম হজমে সহায়ক হতে পারে।
হার্ট সুস্থ রাখে
পাকা আমে থাকা পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, যা হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত পাকা আম খাওয়ার মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপ ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কিছুটা কমানো যায়।
মস্তিষ্কের জন্য উপকারী
পাকা আমে থাকা ভিটামিন বি৬ (B6) মস্তিষ্কের গঠন ও স্নায়ুতন্ত্রের কাজ সঠিকভাবে পরিচালনায় সাহায্য করে। এটি মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও সহায়তা করতে পারে।
ত্বক ও চুলের যত্নে
ভিটামিন এ ও সি ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
- এটি ত্বকে উজ্জ্বলতা এনে দেয়।
- ব্রণ কমাতে সাহায্য করে।
- চুলের গোড়া মজবুত করে এবং চুল পড়া কমায়।
ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্যকারী
পাকা আমে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান যেমন কুইরসেটিন, আইসোকুয়েরসেটিন, অ্যাস্ট্রাগালিন, ফাইসেটিন ইত্যাদি, যা কোষের ক্ষয় রোধ করে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
পাকা আম শুধু একটি সুস্বাদু ফল নয়, এটি একটি পুষ্টিগুণে ভরপুর প্রাকৃতিক টনিক। তবে অতিরিক্ত খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে, বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য। প্রতিদিন পরিমাণমতো পাকা আম খেলে শরীর ও মনের জন্য তা হতে পারে দারুণ উপকারী। একটি বিষয়ে আপনাকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে, বাজারের কৃত্তিমভাবে পাকানো আমের উপকারিতার চেয়ে ক্ষতির পরিমান বেশি, সব সময় চেষ্টা করবেন প্রাকৃতিকভাবে পাকানো গাছপাকা আম গ্রহন করতে, আমরা পছন্দের বাজারের পক্ষ থেকে আপনাকে শতভাগ গ্যারান্টি সহকারে অর্গানিক ভাবে পাকানো আম দিচ্ছি, যা স্বাদে গুনে অতুলনীয়।