খাঁটি গাওয়া ঘি (Gawa Ghee)- ৫০০ গ্রাম

বাংলার প্রতিটি ঘরে একসময় যে সুগন্ধি ঘি-র রাজত্ব ছিল, তা আজ অনেকটাই হারিয়ে গেছে বাজারের নকল আর কেমিকেল মিশ্রিত ঘি-র ভিড়ে। তবে খাঁটি গাওয়া ঘি – যার উৎপত্তি হয় দুধ থেকে তৈরি দই, তারপর মাখন এবং অবশেষে চুলায় ধীরে ধীরে গাওয়া হয়ে তৈরি করা হয় – সেটিই আসল ঘি।

🌾 গাওয়া ঘি কীভাবে তৈরি হয়?

খাঁটি গাওয়া ঘি তৈরি হয় নিচের ধাপে ধাপে প্রক্রিয়ায়:

• তাজা গরুর দুধ থেকে দই তৈরি করা হয়।
• দই থেকে মাখন তোলা হয় (চর্নিং করে)।
• মাখনকে ধীরে ধীরে আঁচে জ্বাল দিয়ে ঘি তৈরি করা হয়।

এই প্রক্রিয়ায় কোনো কেমিকেল, সংরক্ষক বা রঙ ব্যবহার করা হয় না।

🩺 স্বাস্থ্য উপকারিতা

• হজম শক্তি বাড়ায়: প্রাকৃতিক ঘি পাচনতন্ত্রকে মসৃণ করে, অ্যাসিডিটি কমায়।
• মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়: ঘি-তে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট নিউরনের পুষ্টি জোগায়।
• বাত ও জয়েন্ট ব্যথায় উপকারী: ঘি-র অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য ব্যথা কমায়।
• ত্বক ও চুল সুন্দর রাখে: ভেতর থেকে পুষ্টি দিয়ে গ্লো আনে।
• হরমোন ব্যালান্স করে: ঘি শরীরের হরমোনাল ভারসাম্য রক্ষা করে।

🍛 ব্যবহার কোথায় হয়?

• ভাতে ১ চামচ ঘি মিশিয়ে খাওয়া – ক্লাসিক স্বাদ ও পুষ্টি।
• ডালের উপর দিয়ে – অতুলনীয় সুগন্ধ।
• রুটি বা পরোটায় লাগিয়ে খাওয়া – সহজ হজম ও তৃপ্তি।
• আয়ুর্বেদিক ওষুধে – ঘি “অনুপান” হিসেবে কাজ করে।

“ঘি খাও, স্বাস্থ্য পাও — দুধের সোনালী উপহারই হল খাঁটি গাওয়া ঘি।”

⚠️ সতর্কতা

• একেবারে খাঁটি না হলে ঘি উপকারের বদলে ক্ষতি করতে পারে।
• প্রতিদিন ১-২ চা চামচ ঘি-ই যথেষ্ট।
• উচ্চ কোলেস্টেরল থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে খাওয়া উচিত।

আজকাল বাজারে খাঁটি গাওয়া ঘি খুঁজে পাওয়া কঠিন হলেও, যদি আপনি গ্রাম্য উপায়ে তৈরি ঘি সংগ্রহ করতে পারেন, তবে সেটি আপনার শরীর ও মন দুটোই ভালো রাখবে।