খাঁটি সরিষার তেল – ৫০০ গ্রাম

প্রাচীনকাল থেকেই বাঙালির রান্নায় সরিষার তেলের ব্যবহার চলে আসছে। আর সেই তেলের মধ্যে সেরা হচ্ছে কাঠের ঘানিতে ভাঙা খাঁটি সরিষার তেল। এটি শুধুমাত্র স্বাদের জন্য নয়, বরং এর পুষ্টিগুণ, সুগন্ধ, ওষুধি গুণ এবং প্রাকৃতিক উৎপাদন প্রক্রিয়ার জন্য এটি অতুলনীয়।

কাঠের ঘানি ভাঙা তেল কীভাবে তৈরি হয়?

• পরিপক্ব সরিষার বীজ বেছে নেওয়া হয়।
• বীজ কাঠের তৈরি ঘানিতে ধীরে ধীরে ভাঙা হয়, সাধারণত ষাঁড় বা মোটরের সাহায্যে।
• এই ধীর গতির ভাঙা প্রক্রিয়ায় তেলের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয় না।
• তেল ছেঁকে বোতলজাত করা হয়, কোনো কেমিকেল বা হিটিং ছাড়া।

স্বাস্থ্য উপকারিতা

• হৃদপিণ্ডের জন্য উপকারী: সরিষার তেল এলডিএল কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
• ত্বক ও চুলের যত্নে: নিয়মিত ব্যবহার ত্বক উজ্জ্বল ও চুল মসৃণ রাখে।
• অ্যান্টিসেপ্টিক গুণ: কাটা-ছেঁড়ায় ব্যবহার করলে জীবাণু ধ্বংস করে।
• প্রাকৃতিক পেইন রিলিফ: জয়েন্ট ব্যথা ও পেশি ব্যথায় মালিশ করলে আরাম পাওয়া যায়।
• হজমে সহায়ক: রান্নায় ব্যবহারে হজম প্রক্রিয়া উন্নত হয়।

ব্যবহার কোথায় হয়?

• বেঙ্গলি রান্নায় যেমন ভর্তা, ভাজি, কষা মাংস, ইলিশে অপরিহার্য।
• শীতকালে গায়ে মালিশ করে ব্যবহার হয় স্নিগ্ধতা ও উষ্ণতার জন্য।
• অনেক ঘরোয়া ওষুধে সরিষার তেল গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

“ঘানি ভাঙা সরিষার তেল শুধু একটা তেল নয় – এটা বাঙালির ঘ্রাণ, ঐতিহ্য আর নির্ভরতার প্রতীক।”

কেন ঘানি ভাঙা তেল সেরা?

• কম তাপে ভাঙা হয়, তাই পুষ্টিগুণ বজায় থাকে।
• কোনো কেমিকেল বা প্রিজারভেটিভ থাকে না।
• স্বাদ ও ঘ্রাণে খাঁটি – বাজারের পরিশোধিত তেলের মতো নয়।
• দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারেও স্বাস্থ্যবান্ধব।

সতর্কতা

• নকল বা কেমিকেল মিশ্রিত তেল এড়িয়ে চলুন।
• বিশ্বস্ত উৎস থেকে সংগ্রহ করুন, ঘ্রাণ ও রঙ দেখে যাচাই করুন।
• খুব বেশি পরিমাণে ব্যবহার করাও ঠিক নয়, পরিমিত থাকুন।

খাঁটি সরিষার তেল শুধু খাবার নয়, এটা আমাদের সংস্কৃতি, স্বাস্থ্য আর ঘরের ওষুধি ভাণ্ডারের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। আধুনিকতার ভিড়েও ফিরে আসুক আমাদের সোনালী ঐতিহ্য – কাঠের ঘানি ভাঙা সরিষার তেল।